সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:৫১

শিরোনাম :
প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ বরিশাল সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাদিস মীরের মনোনয়ন দাখিল বরিশালে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস জনজীবন,বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ! বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জসিম উদ্দিনের মনোনয়নপত্র দাখিল বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এসএম জাকির হোসেনের মনোনয়নপত্র দাখিল
ঝালকাঠি এলাকাবাসী চিন্তিত, মাথাব্যথা নেই কর্তৃপক্ষের!

ঝালকাঠি এলাকাবাসী চিন্তিত, মাথাব্যথা নেই কর্তৃপক্ষের!

dynamic-sidebar

ঝালকাঠির দারখি-মানপাশার সড়কটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে কোটি টাকার বেশি। অথচ দুই মাস না যেতেই সেটি ভেঙে পড়ছে খালে। একাধিক স্থান হতে সড়কের অর্ধেকের বেশি অংশ ধসে খালে পড়ছে। ভাঙন নিয়ে এলাকাবাসী চিন্তিত থাকলেও কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই!এর ফলে সড়কটির নির্মাণকাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয় নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে তেমনি দুর্নীতির বিষয়টিও সামনে আসছে। এলাকাবাসী জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নড়বড়ে পাইলিং ও গুনা দিয়ে বেঁধে ভাঙন রোধের লোক দেখানো প্রচেষ্টা চালালেও কার্যত কোনো লাভ হচ্ছে না।

অন্যদিকে সড়কটি নির্মাণের দু’মাসের মধ্যেই একাধিক স্থান ধসে পরলেও রহস্যজনক কারণে প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিষয়টি গোপন রেখেছেন। এমনকি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক ধসে পড়া সম্পর্কে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রহুল আমিন কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেছেন।

এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের অধীনে ১ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যায়ে বাসন্ডা-নবগ্রাম ইউনিয়নে সাড়ে ৫ কিলোমিটার দারখি-মানপাশা সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হয় গত ২ মার্চ। এ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বরিশাল বাকেরগঞ্জের মেসার্স সিকদার অরিয়ান এন্টারপ্রাইজ। যার প্রোপ্রাইটর ফাইজুর রহমান।

দারখি গ্রামের বাসিন্দা সুলতান মোল্লা (৬৫) জানান, এই সড়কটি নির্মাণে এলাকাবাসীর দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। সরকার দেশের রাস্তাঘাট উন্নয়নের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও তা কতটুকু কাজে লাগছে দেখার কেউ নেই। তবে এই সড়কের ভাঙনের বিষয়ে আমরা কোনো কথা বলতে পারব না। কী আর বলব সবতো দেখতেই পারছেন! এরকম কাজ না করলে ব্যবসা করবে কী ঠিকাদার! আর কর্তৃপক্ষকে পার্সেন্টেজ দেবে কেমন করে? দুর্ভোগতো আমাদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- সড়কটির একাধিক স্থান থেকে বিশাল বিশাল অংশ ভেঙে খালে পড়ে আছে। এলকাবাসী জানায়, ভাঙনের পরপরই ঠিকাদারের লোকজন পাইলিং দিয়ে মোটা গুনা দিয়ে বেঁধে রাখার চেষ্টা করেও ভাঙন ঠেকাতে পারছে না। ভেঙে পড়া সড়কের স্থান দ্রুত সংস্কার না করায় প্রতিদিন ভাঙন বাড়ছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, ভাঙন নিয়ে এলাকাবাসী চিন্তিত থাকলেও কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই। তাই ২ মাস হতে চললেও এ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ সড়কটি পরিদর্শনে এসে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

এ বিষয়ে প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনজুর রহমান জানান, রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় এই সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে গত ২ মার্চ। এটা ঠিকাদারের কোনো দোষ নয়। পানির চাপে রাস্তা ভেঙে গেছে। আমি ঠিকাদরকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলায় সে পাইলিং দিয়েছে।
এ বিষয় ঝালকাঠি এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন জানান, সড়কটির পাশে খাল আছে। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসকাউরিং থাকলে ভাঙন হতেই পারে। যদি এমনটা হয় তাহলে আমার তাদের লিখিতভাবে জানাবো।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং নির্বাহী প্রকৌশলীর সাহায্য চাইলে তারা কোনো সাহায্য না করায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

তবে একটি সূত্র জানায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নগদ লাভের বিনিময়ে কাজটি অন্য আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিলে সেই ক্রেতাই কাজটি সম্পন্ন করেছে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net